সুদীপ দেবনাথ রিমন: বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের আশ্বাস দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার গণঅনশন ভাঙিয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
২৩ সেপ্টেম্বর সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু-বান্ধব অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২য় দিনের কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে কবির বিন আনোয়ার তাদের অনশন ভাঙান।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, সমতলে আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশনসহ সরকারি দলের গত নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়ন করা। এর আগে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের ঐক্যমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে অনশনরত বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে আন্দোলন স্থলে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তিনি ছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়ায় মহিলা, যুব ঐক্য পরিষদের আরও ছয় নেতা-কর্মীকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। অনশনের দ্বিতীয় দিনে শনিবার তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ শীর্ষ খবর পত্রিকা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান ও না খাওয়ার কারণে রানা দাশগুপ্তসহ আমাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে গণ-অনশন ও গণসমাবেশ শুরু করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সারা দিন ও রাতভর সেখানে অনশন করে অবস্থান করেন তাঁরা। অনশন ও অবস্থানের প্রায় ৩০ ঘণ্টার মাথায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, অনশনকারীদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও দুজন নারীকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছেন। একদল চিকিৎসক ও নার্স সেখানে অসুস্থদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একটি চিকিৎসক দল অনশনে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছে।