দৈনিক নতুনবাংলা : আজ (০৭ জানুয়ারী, ২০২৫,) রোজ মঙ্গলবার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর অডিটোরিয়ামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy-NIS), অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (Grievance Redress System) এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (Right to Information (RTI) Act, 2009)_ বিষয়ক এক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান, মেজর জেনারেল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অবঃ)। রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, এনডিসি, আজকের কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজউক এর সদস্য (প্রশাসন), ড. মোঃ আলম মোস্তফা।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও তথ্য অধিকার সম্পর্কিত সম্যক ধারণা প্রদানের জন্য আয়োজিত হয় এই কর্মশালা। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ কীভাবে সেবাগ্রহীতাদের মাঝে সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিবেন তা সম্পর্কে তাত্ত্বিক জ্ঞান ও তার প্রয়োগ উদাহরণ সহ জানতে পারেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্মচারী হিসেবে প্রতিটি দপ্তরে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে কার্যসম্পাদন করার ক্ষেত্রে কী করণীয় তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অবঃ) বলেন, “কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করণের লক্ষ্যে নিয়মিত বিরতিতে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য শুদ্ধাচার বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয় যেন সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ কর্মতৎপর হোন, এবং সেবা প্রদানের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “রাজউক একটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের আস্থার জায়গা হয়ে উঠবে শীঘ্রই- এই লক্ষ্যে রাজউক সংশ্লিষ্ট সকলে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকলে রাজউকের সুনাম আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে আমি মনে করি।”
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, এনডিসি বলেন, “তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে যে কেউ যে কোন সময়ে সরকারি অফিসসমূহ সংশ্লিষ্ট তথ্য পেতে পারেন। রাজউকের যে কোন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার কৌশল মেনে চললে সেবাপ্রার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে।”কর্মশালায় উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে ড. মোঃ আলম মোস্তফা বলেন, ” শুদ্ধাচার কৌশল পুরো পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন দেশে মেনে চলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ গৃহীত হয়। জনসেবার লক্ষ্যে শুদ্ধাচারের বিকল্প নেই।” তিনি আরও বলেন, ” সংস্থাভেদে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য ব্যতীত জনগণের চাহিদার বিপরীতে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এবং দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দ্রুততার সাথে কাজ করতে হবে।”
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, মোহাঃ হারুন অর রশীদ, সদস্য (উন্নয়ন ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ)। তিনি বলেন, ” শুদ্ধাচার কৌশল সঠিকরূপে পালন করলেই অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জি আর এস) এ অভিযোগের সংখ্যা কমে যাবে।”
শুদ্ধাচার কৌশল, তথ্য অধিকার আইন ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত আজকের এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সহকারী পরিচালক সমমর্যাদা ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।