মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু পাবলিসিটির ঝলমলে আলোয় আলোকিত নয় মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় সংসদ উপনেতা অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছন, তার (প্রধানমন্ত্রী) নিজের দীপ্তি আছে। গত ১৮ মার্চ ২০২৩ রোজ শনিবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ভাষানটেক বাজার মোড়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সমুদ্র বিজয় করে। সমুদ্র তো আগেও ছিল, এখনও আছে। কিন্তু এই সমুদ্র বিজয় আগে কেউ ভাবতে পারেনি। অতীতে যখন চাপ এসেছে, সবাই আত্মসমর্পণ করেছে, মাথা নত করেছে। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজয় করেছেন। সমুদ্র সীমা নিয়ে যেসব জটিলতা ও সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, সেগুলো তিনি স্তব্ধ করেছেন, সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই বাসস্থানের স্বপ্ন দেশের অনেক মানুষ দেখতে পারতো না। গ্রামে এমনও পরিবার আছে যারা চিরদিন অন্যের বাড়িতে থেকেছে, সকালে উঠে কাজে গেছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের লাল-সবুজ ঘরের ঠিকানা দিয়েছেন। একটি স্থায়ী আবাসস্থল দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই নাড়ি পোঁতা আছে গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখেন, ২২ রকমের ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিকে পাওয়া যায়৷ এখন আর কোনো প্রসূতি হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় না। এই হলো আজকে আমাদের চিকিৎসার অবস্থা। আজকে পুরোনো কাপড় কাউকে বিনা পয়সায় দিলেও রাখতে চায় না। এখন পুরোনো কাপড় লাগে গাড়ি মোছা, ধোয়ার কাজে। পুরোনো কাপড় এখন আর কেউ পরে না। আজকে ফকিরকে ডেকে আনেন বাসি ভাত নেওয়ার জন্য, ফকির আপনাকে ইংরেজি শোনাবে, বলবে, আমার তো গ্যাস্ট্রিক, বাসি ভাত খেতে পারি না, পানি ভাত খেতে পারি না। এই তো আমাদের অবস্থা। বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান সবকিছুর ব্যবস্থা করেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্ষান্ত হননি। এই সেবা কীভাবে আরো দিন দিন উন্নত করা যায়, কীভাবে মানুষকে আরো স্বস্তি এবং শান্তি দেওয়া যায় সেই চিন্তা করছেন। পৃথিবীতে কয়টি দেশে বছরে স্কুল খোলার দিনে বিনা পয়সায় নতুন বই দেওয়া হয়। খোঁজ নিলে দেখা যাবে বাংলাদেশ ওপরের দিকের তালিকায় আছে। এইতো বাংলাদেশের চিত্র। আওয়ামী লীগের ওই নেত্রী বলেন, মাঝে মাঝে দুর্বিপাক আসে, অসুবিধা আসে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী ‘হাল ছেড়ো না বাংলাদেশ’ স্লোগানের প্রতিমূর্তি হয়ে হাল ছাড়েন না। ঝড়, বৃষ্টি আঁধার রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলালীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবাই আছে। নেতাদের মতিভ্রম হয়, কিন্তু কর্মীদের মতিভ্রম হয় না, এটা আওয়ামী লীগের কর্মীরা বার বার প্রমাণ করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পি, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল আউয়াল শেখ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম মজনু, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক হামিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হিমাংশু কিশোর দত্ত, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিম খান সহ প্রমুখ।