নেত্রকোন প্রতিনিধি : আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খাঁন একজন উচ্চ শিক্ষিত, ধর্মপরায়ন, নির্লোভ তথা সর্বত্যাগী সাধক ছিলেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে প্রথমে শিক্ষকতা পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংক লিঃ এ সিনিয়র অফিসার পদে সরকারী চাকুরী করেছেন। উনার পিতৃত্বে একমাত্র মেয়ে, স্ত্রী, বাবা-মা, ৪ (চার)জন ভাই(বর্তমানে ০২জন ভাই জীবিত), ০৫ (পাঁচ) জন বোন(বর্তমানে ০৪ জন বোন জীবিত), ০২ জন ভাইপো, ০২ জন ভাইঝি, ০৯জন ভাগ্নে,১১ জন ভাগ্নিসহ অসংখ্য আত্ত¡ীয় পরিজনও গুণগ্রাহী, নিজের ও পৈত্রিক স্থায়ী-অস্থায়ী সম্পদ ও সম্পত্তি এবং পারিবারিক ও সামাজিক মান মর্যাদা ও আধিপত্যকে বিসর্জন দিয়ে চিন্তা জগতের সংস্কার সাধনের মাধ্যমে মানবপ্রেম তথা সৃষ্টির প্রতি প্রেমের মাধ্যমে ¯্রষ্টার প্রেমার্জনের অমিয়নীতি এবং দারিদ্র আমার গর্ব এ তত্ত¡ অনুসরণ নিজের সময় ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, হৃদয় নিয়ন্ত্রণ, জিকিওে নিমজ্জিত থাকা, মনের বিক্ষিপ্ততা প্রতিরোধে নিঃশ^াস সংযম, দৃষ্টি সংযম এবং প্রতিমূহুর্তে সৃষ্টি ও ¯্রষ্টার সান্নিধ্যলাভ এবং অগনিত ভক্ত ও অনুসারীদের কল্যাণ ও সত্যের পথে ধাবিত করার মহান ব্রতকে সামনে রেখে সর্বত্যাগী আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খাঁন জাগতিক সকল প্রকার ভোগ বিলাসিতা পরিহার করে সুদীর্ঘ ৪০ বৎসর সংসার ত্যাগী অবস্থায় বিগত ২৭ নভেম্বর, ২০২০ খ্রিঃ, আটপাড়া উপজেলাস্থ কামালগাতি গ্রামে এক ভক্তের আবাসনে তিনি ইহলৌকিক জীবনাবসান করে পরলৌকিক জীবনে পারি জমিয়েছেন। অতঃপর উক্ত স্থানেই উনাকে সমাহিত করা জন্য ভক্ত-অনুসারীবৃন্দ ঐকান্তিক ইচ্ছা পোষণ করলেও উনার একমাত্র মেয়ের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বত্যাগী আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খাঁন সাহেবের পৈত্রিক নিবাস গ্রাম- স্বল্পনন্দীগাঁও(ভুগিয়া), ইউনিয়ন- আশুজিয়া, উপজেলা- কেন্দুয়া, জেলা- নেত্রকোণায় উনাকে সমাহিত করা হয়। অগনিত ভক্ত, অনুসারী, শুভাকাংখী ও আত্ত¡ীয় পরিজনের ঐকান্তিক প্রত্যাশা পূরণার্থে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং ¯্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের আলোকবর্তিকা হিসেবে খ্যাত সর্বত্যাগী আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খাঁন সাহেবের জীবনাদর্শ সংরক্ষণ ও প্রচারের লক্ষ্যে বিগত ০৪-১২-২০২০ খ্রিঃ পরিবারের সদস্যবর্গ ও ভক্ত-অনুসারীবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনান্তে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূবৃক রেজুলেশনমূলে আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খান সাহেবের নামে ওয়াকফ এস্টেট প্রতিষ্ঠা, ভুমি দাতা নিধারণ , মোতাওয়াল্লী নিয়োগ চুড়ান্তকরণ, অর্থসংস্থান, প্রস্তাবিত ওয়াকফ এস্টেটের গঠনতন্ত্র ও সাধারণ পরিষদ গঠন করে ১৯৬২ সালের ওয়াকফ এস্টেট আইন (সর্বশেষ সংশোধনী ২০১৩ খ্রিঃ) এর ১ নং অধ্যাদেশ অনুযায়ী ও ইসলামী শরীয়া আইনের বিধান অনুযায়ী সাধকের উত্তরাধিকারীগণ সমাধিস্থলে (সাধকের একমাত্র মেয়ে, আপন ভাগ্নে ও একমাত্র মেয়ের জামাতা, আপন বোন গং) বিগত ২৩-০২-২০২১ খ্রিঃ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, কেন্দুয়া, নেত্রকোণায় ১৫.৫০ (সাড়ে পনের) শতাংশ ভুমি রেজিষ্ট্রিমূলে দলিলকরতঃ “আধ্যাত্বিক স াধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খাঁন ওয়াকফ এস্টেট” প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আইনানুযায়ী ওয়াকফে লিল্লাহ হিসেবে রেজিষ্ট্রি হয়।অতঃপর ওয়াকফ এস্টেট আইন- ১৯৬২ (সর্বশেষ সংশোধনী ২০১৩ খ্রিঃ),ওয়াকফনামার ধারা “ক” ও অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের ধারা ৯.১ (ক) এবং বিগত ০১-০১-২০২১ খ্রিঃ অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খান ওয়াকফ এস্টেট, স্বল্পনন্দীগাও(ভুগিয়া), কেন্দুয়া, নেত্রকোণায় বিদ্যমান মোতাওয়াল্লী মাসুদুর রহমান এর অবর্তমানে বৈধ উত্তরাধিকারীগণের মধ্য হতে মনোনীত পর্যায়ক্রমিক মোতাওয়াল্লীগণের (১. রুমী আক্তার, বেসরকারী কলেজের প্রভাষক ও একমাত্র মেয়ে, ২. ইঞ্জিনিয়ার আবু নাসের খান তিতাস- সাধকের আপন ছোট ভাইয়ের ছেলে ৩. মোঃ তোফাজ্জল হোসেন খান, সাধকের আপন বড়ভাইয়ের ছেলে) তালিকা তৈরী করে বিগত ০৬-০২-২০২২ খ্রিঃ ২০৫ নং নোটারী ক্রমিকে এফিডেবিট করা হয়। অতপরঃ ওয়াকফনামার“ গ” উপধারার বিধানমতে মোতাওয়াল্লী মাসুদুর রহমান আধ্যাত্বিক সাধক মরহুম আব্দুস সাত্তার খান ওয়াকফ এস্টেট, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা এর নামে ১১৯৬ ও ১১৯৭ নং দুইটি দলিলমূলে রেজিষ্ট্রিকৃত ০.১৫৫০ একর (সাড়ে পনের শতাংশ) ভুমি নামজারি করা হয় এবং ওয়াকফনামার “ছ” উপধারার বিধানানুযায়ী হালনাগাত খাজনা ও বিদ্যূত বিল পরিশোধ করা হয় । উল্লেখ্য, নামজারি ও অন্যান্য খাজনা, ট্যাক্স, বিল বা ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে মোতাওয়াল্লী হিসেবে আমি নি¤œস্বাক্ষরকারী মাসুদুর রহমানের নাম ও এনআইডিনং – ৫০৭৮৭৭৭৯১৮ ব্যবহার করা হয়েছে।ওয়াকফ এস্টেট অধ্যাদেশ- ১৯৬২, সর্বশেষ সংশোধনী আইন ২০১৩ অনুযায়ী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, কেন্দুয়া, নেত্রকোণায় বিধি সম্মতভাবে সাধকের পৈত্রিক ১৫.৫০ (সাড়ে পনের শতাংশ) ভুমি তৎওয়ারিশগণ কর্তৃক রেজিষ্ট্রি করতঃ ওয়াকফ নামা দলিলমূলে নিয়োগকবৃত মোতাওয়াল্লী মাসুদুর রহমান (সাধকের আপন ভাগ্নে ও একমাত্র মেয়ের জামাতা) কর্তৃক উক্ত ওয়াকফকৃত সম্মত্তি ওয়াকফ এস্টেট অধ্যাদেশ- ১৯৬২ এর ধারা ৪৭, উপধারা-২ অনুযায়ী ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকায় তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে বিধি সম্মতভাব্ ে বিগত ১৫-০১-২০২৩ খ্রিঃ অনলাইনে আবেদন এবং পরবর্তীতে বিগত ০১-০২-২০২৩ খ্রিঃ এ তালিকাভুক্তির আবেদনের হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। মোতাওয়াল্লী হিসেবে আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী মাসুদুর রহমান এর ওয়াকফ এস্টেট তালিকাভুক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা- ১০০০ কর্তৃক বিগত ২৬-০২-২০২৩ খ্রিঃ, স্মারক নং – ওঃপ্রঃ/নেত্রঃ/১৬ পত্রমূলে (উল্লেখিত পতে আবেদনকারী হিসেবে আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী মাসুদুর রহমান এর নামে ও অনুলিপি প্রেরণ করা হয়) তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জনাব মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ওয়াকফ পরিদর্শক, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয়কে নির্দেশনা প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অত্র ওয়াকফ এস্টেট ও পবিত্র মাজার শরীফ সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিল করেছেন। অতঃপর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- ১৬.০২.০০০.০৪৩.৩১.০০০.২৩.১৫, তারিখ- ২৬-০২-২০২৩ খ্রিঃ অত্র ওয়াকফ এস্টেটের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত কিনা এতদসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা মহোদয়কে নির্দেশনা প্রদান করলে এ বিষয়ে
জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভুমি), কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদয় এবং ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা, আশুজিয়া, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদয় অত্র ওয়াকফ এস্টেট সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা মহোদয় বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। উল্লেখ্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদয় অত্র এলাকার সার্বিক শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং সাধারণ মানুয়ের বৈধ প্রত্যাশা পূরণকল্পে বিগত ১৬-০১-২০২৩ খ্রিঃ, স্মারক নং- ০৫.৪৫.৭২৪৭.০০১.০৩.০০২.২২.৫৭ পত্রমূলে অত্র ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য আশজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী মাসুদুর রহমানকে সমন্বয়পূর্বক একটি কার্যকর পরিচালনা কমিটি গঠনের নির্দেশনা হেতু ওয়াকফ এস্টেট ও পবিত্র মাজার শরীফের পূর্ব নির্ধারিত ১৬-০১-২০২৩ খ্রিঃ একটি কার্যকর ও বিধি সম্মত পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় এবং উক্ত পরিচালনা কমিটি গঠনের পূর্বে ওয়াকফ এস্টেট ও পবিত্র মাজার শরীফের প্রয়োজনে ইস্যুভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত যাবতীয় উপ-কমিটিসমূহ বা আহবায়ক কমিটিসমূহ ও উক্ত কমিটিসমূহের কার্যক্রম সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করে বিধিসম্মতভাবে গঠিত নতুন পরিচালনা কমিটির সম্মানিত সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
বর্তমান পরিচালনা কমিটি গঠনের পরমূহুর্তেই অত্র ওয়াকফ এস্টেট ও পবিত্র মাজার শরীফের পর্যায়ক্রমিক ও ধারাবাহিক প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে ঈর্শান্বিত তথা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যেস্বঘোষিত ও পর্দার আড়ালে থেকে শফিকুল ইসলাম খাঁন নিজেকে ওয়াকফ এস্টেটের সভাপতি সৃজন করে বৈধ পরিচালনা কমিটির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সহকারী জজ আদালত, কেন্দুয়া, নেত্রকোণায় মামলা করলে মাননীয় আদালত এতদসংক্রান্ত বিষয়ে বিশদ পর্যালোচনাপূর্বক দুতরফা সূত্রে মামলাটি না মঞ্জুর করেন। মহামান্য আদালতের এতদসংক্রান্ত আদেশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদযের কার্যকর ভুমিকা সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ সৃষ্টি করলেও শফিকুল ইসলাম খান গং চক্র তাদের অপতৎপরতা ও অপকৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা জজ আদালত, নেত্রকোণায় মিস আপিল দায়ের করেন, কিন্তু জেলা জজ আদালত কর্তৃক এতদসংক্রান্ত কোন স্থগিতাদেশ বা তাদের স্বপক্ষে নির্দেশনা না পেলেও মিস আপিল সাবমিশনের বিষয়টি সাধারণ মানুষকে এমনকি বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে আবারো নতুন হীন খেলায় মেতেছে। শফিকুল ইসলাম খানগংদের অপদৌরাত্বের বিষয়গুলো আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়।
স্বঘোষিত ও পর্দার আড়ালে থেকে শফিকুল ইসলাম খাঁননিজেকে ওয়াকফ এস্টেটের সভাপতি সৃজন করে বিধি বহিভর্’তভাবে দুষ্ঠুচক্রের সদস্যদের নিয়ে মনগড়া কমিটি ঘোষনা দিয়ে প্রতিনিয়ত মহড়া দিয়ে পবিত্র মাজার শরীফের পবিত্রতা নষ্ট করছে এবং স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করে সাধকের অগণিত ভক্ত-অনুসারীগণের দান- অনুদান, উপহার জবর দখলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মাজারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যাওয়ার মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্র ওয়াকফ এস্টেট এর বিধিসম্মত ও বৈধভাবে গঠিত অনুমোদিত পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী মোতাওয়াল্লী মাসুদুর রহমান, অত্র ওয়াকফ এস্টেট এর বৈধভাবে ও অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পদাধিকারবলে মনোনীত অত্র ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটির সম্মানিত সভাপতি ও আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মঞ্জুর আলী এবং বৈধভাবে মনোনীত ও অনুমোদিত সাধারণ সম্পাদক রুমি আক্তার (সাধকের একমাত্র মেয়ে) স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পত্রসহ শফিকুল ইসলাম খান গং ও তৎসংশ্লিষ্ট দুষ্ঠুচক্রের অনাচারের মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করলে উপজেলার অভিভাবক হিসেবে তিনি আমাদের আকুতি ও ন্যয় প্রতিষ্ঠার লক্ষে বিগত ১০-০৬-২০২৩ খ্রিঃ রোজ- শনিবার, বেলা- ১:০০ ঘটিকায় অত্র ওয়াকফ এস্টেট ও পবিত্র মাজার শরীফের দানবাক্স খোলার জন্য প্রতিনিধি হিসেবে জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদয় ও উনাকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য ০৪ (চার) জন পুলিশ সদস্য প্রেরণ করলে আমরা অত্র ওয়াকফ এস্টেট ও পবিত্র মাজার শরীফের মোতাওয়াল্লী হিসেবে আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সাধকের একমাত্র মেয়ে ও সাধারণ সম্পাদক রুমি আক্তারসহ অগণিত ভক্ত-অনুসারী ও অত্র মহল্লার উপস্থিত সম্মানিত সদস্যগণসহ দানবাক্স খোলার প্রস্তুতি গ্রহণকালে দৃশ্যমান হয় জনৈক দুষ্টু চক্র হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে ইতিপূর্বে লোক চক্ষুর অন্তরালে দানবাক্সের তালাগুলো সুপার গেøা(গাম) দিয়ে আবদ্ধ অবস্থায় আছে। তখন উপস্থিত সম্মানিত সদস্যগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে নতুন তালা ক্রয় করার জন্য প্রতিনিধি প্রেরণ করা হয়। অতঃপর উপস্থিত সম্মানিত প্রতিনিধিগণ হাজিরা শীটে স্বাক্ষর করে দানবাক্সের তালা ভেঙ্গে টাকা বের করে নতুন তালা লাগিয়ে তাৎক্ষনিক সীল গালা করা হয়। দান বাক্সের টাকা বিধি মোতাবেক ওয়াকফ এস্টেটের ব্যাংক হিসাব জমা করা হয়। তদুপরি শফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ভুয়া তথ্য উপস্থাপনর্পূর্বক মিথ্যা, ভুয়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনয়ন করে জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা, পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা ও সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, নেত্রকোণা প্রেসক্লাব বরাবরে আবেদন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা মহোদয়ের প্রতিনিধি জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মহোদয়কে মাজারের তালা ভেঙ্গে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ স্পর্শকাতর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন। দুষ্টু চক্রের এহেন অপতৎপরতার প্রতিবাদে ওয়াকফ এস্টেট প্রাঙ্গনে মোতাওয়াল্লী মাসুদুর রহমান, ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর আলী ও সাধকের একমাত্র মেয়ে ওয়াকফ এস্টেটের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমি আক্তার সংবাদ সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।