চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ রমিম হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ‘আমরা চট্টগ্রামবাসী’ নামের একটি সংগঠন। শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ইয়াজ উদ্দীনের বড় ভাই রিয়াজ আহমেদ আসিফও বক্তব্য দেন। একজন শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দিতে না পারায় দেশটির পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্টলুইস শহরে কর্মস্থল বিপি গ্যাস স্টেশনে ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ ওরফে রমিমকে (২২) গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। সেন্টলুইস শহরের পার্কওয়ে সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে স্নাতক শেষ করে কমিউনিটি কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ালেখা করছিলেন রমিম।
রমিমের বাড়ি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার করেরহাট গ্রামে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ। নিহত রমিমের বড় ভাই রিয়াজ আহমেদ আসিফ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমেরিকার মতো উন্নত দেশে ডাকাতদের গুলিতে আমার ছোট ভাইকে মরতে হলো। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি দেশটির পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে। আমেরিকার মতো দেশে এটা কীভাবে সম্ভব? আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, ‘নিহত রমিম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে পড়ালেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি গ্যাস স্টেশনে চাকরিও করত সে, প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ভাবতে অবাক লাগে, আমেরিকার মতো দেশে বাংলাদেশিদের কোনো নিরাপত্তা নেই। কিন্তু সেই আমেরিকা আজ বাংলাদেশের মানবাধিকারের কথা বলে, অথচ তাদের দেশে কোনো মানবাধিকার নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) স্যাংশন দেন, আমরা আপনাদের পুলিশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়ার দাবি করছি। আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে স্যাংশন দেন, সেভাবে আপনাদের নিজেদের পুলিশের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়া উচিত।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমদাদুল ইয়াজসহ আরও কয়েকজন প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন।