শিরোনামঃ
রোকেয়া হলের মেয়েরা রাজাকার বলে স্লোগান দেয়,তারা কী জানে ’৭১ সালের ২৫ মার্চ কি ঘটেছিল: প্রধানমন্ত্রী সংগীত শিল্পী ও অভিনেত্রী মেহা উত্তর আমেরিকা থেকে উধাও! হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ,সরকার প্রয়োজনে কোটা সংস্কার করতে পারবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীন ও ভারত আলাদা আলাদা প্রস্তাব দিয়েছে :প্রধানমন্ত্রী ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উম্মোচন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় লীলা বানসালি নির্মিত ব্যয়বহুল ৫টি শুটিং সেট সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য দিয়ে পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদন করবেন, তাদের পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হবে:তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে কাল থেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হবে মেসিকে হারিয়ে জেতা ‘পুসকাস’ বিক্রয় করতে চান লিরা শেয়ারের দাম নিয়ে কারাসাজি এবং গুজব রটনাকারী চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার তারিনের অভিষেক বাংলাদেশিসহ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বিএনপি ক্ষমতা যাওয়ার জন্য জনগণের সমর্থনকে বাদদিয়ে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে:ওবায়দুল কাদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া নার্সিংয়ের ২০ হাজার সনদ সন্দেহের তালিকায় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ডিবিতে তলব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু পরিবর্তনের ছয়টি প্রস্তাব: প্রধানমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি,হতে পারেন গ্রেপ্তার  প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ

মোবারক*** ***ঈদ মোবারক*** ***ঈদ মোবারক***

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলায় দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছিল না ডকুমেন্ট

Reporter Name / ১৭৬ Time View
Update : বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মো: আবুল হাসান : ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি এহসানুল হক সমাজী বলেছেন, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলায় ইতিপূর্বে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন দাখিলকারী অন্যতম তদন্ত কর্মকর্তা (বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার পরিমলেন্দু ভট্টাচার্য) আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যতে  তিনি বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১২ সালের ১ অক্টোবরের  প্রতিবেদনে তিনি তদন্ত কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। এই প্রতিবেদনে তিনি সাক্ষর  করেছিলেন। প্রসিকিউশনের এই সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে আমি সাক্ষীকে প্রশ্ন করেছি যে, যে সমস্ত ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে সেই ডকুমেন্টগুলো এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত নেই।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী ) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন মামলার শুনানী শেষে ১৩ ফেব্রুয়ারী পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।

প্রতিবারের ন্যায় শুনানীর সময় মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গন ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডেরে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। বিনিয়োগকারীদের একটিই প্রত্যাশা- আগের মামলার ন্যায় এই মামলাটিরও দ্রুত নিস্পত্তি হোক।

ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক ডেসটিনি ।
ডেসটিনির বিনিয়োগকারী ও ক্রেতা-পরিবেশকদের কিছু অংশ। ছবিঃ দৈনিক নতুনবাংলা ।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী প্রধান আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মহানগর দায়রা জজ আদালত ঢাকা, ব্যারিস্টার উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও  এডভোকেট মোঃ শাহীনুর ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী এডভোকেট মোরশেদ আলম শুভ।

মামলার শুনানী শেষে ডেসটিনি পক্ষের আইনজীবি এহসানুল হক সমাজী দৈনিক নতুনবাংলাকে বলেন, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন এর মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন এর পক্ষ থেকে  সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। বানিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন দাখিলকারী অন্যতম তদন্ত কর্মকর্তা (বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার পরিমলেন্দু ভট্টাচার্য) বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য  দিয়েছেন।

সাক্ষ্যতে  ডেপুটি রেজিস্ট্রার বলেছেন, যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১২ সালের ১ অক্টোবরের প্রতিবেদনে তিনি তদন্ত কমিটির একজন সদস্য। এই প্রতিবেদনে তিনি সাক্ষর করেছিলেন।  এই সাক্ষীর জবানবন্দী শেষে আমি তাকে প্রশ্ন করেছি যে, যে সমস্ত ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে সেই ডকুমেন্টগুলো     প্রতিবেদনের সঙ্গে  সংযুক্ত নেই।

আইনজীবি  এহসানুল হক সমাজী বলেন,   ওই  সাক্ষী ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের বাগান ও সম্পদ সম্পর্কে বিস্তারিত কোন ধরনের তত্ত্ব প্রদান করেননি। এই সাক্ষীকে টেন্ডার করা হয়েছে। টেন্ডার হচ্ছে পুরনো সাক্ষীদের যে বক্তব্য এই সাক্ষীরও একই বক্তব্য ছিল।  প্রসঙ্গক্রমে যে বিষয়টি নিয়ে একটি বিতর্ক রয়েছে এবং বিতর্ক অনেকে তুলেছেন যে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর বিষয়টি । এই প্রতিবেদনের ১৭ পাতায় মাল্টিলেভেল মার্কেটিং অর্থাৎ ডেসটিনি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের মার্কেটিং ব্যবসা করার  ক্ষেত্রে এই বিষয়টি প্রাসঙ্গিক। এবং সেই প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমি এই সাক্ষী কে প্রশ্ন করেছি।

তিনি আরো বলেন, ডেসটিনি গ্রুপের সকল বিনিয়োগকারীদের জ্ঞাতার্থে ওই প্রতিবেদনের অংশটুকু আমি পড়ে শুনাচ্ছি। ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেড কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীনে ১৯/০৩/২০০৬ তারিখে নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধনকালে কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ছিল তিন কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা। কোম্পানিটি নিবন্ধনের পর থেকে যাবতীয় সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স অর্থাৎ রাজস্ব প্রদান করেছে।

কোম্পানির সংঘ স্মারকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং করার মত বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল না। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টে থেকে এই সংঘ স্মারকে (নাম্বার ২/২০০৯ ১৬/২ ২০০৯ তারিখ) মাল্টিলেভেল মার্কেটিং ব্যবসা করার জন্য একটি আদেশ হয়। সংঘ স্মারকে এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে, ২০০৯ সালে উল্লেখিত তারিখে ২০০৯ ১৬/২ ২০০৯ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশক্রমে মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল এসোসিয়েশন অনুযায়ী এই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং শব্দটি সন্নিবেশিত হয়েছে ।  এই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে এডভান্স সেল,ডাইরেক্ট সেল এর মাধ্যমে   ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে মহামান্য উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী সন্নিবেশিত করা হয়েছে।  এই বিষয়টি নিয়ে আইনগত ভাবে কোন প্রকার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। দুর্নীতি কমিশনের দাবি হচ্ছে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেড এর জনগণের কাছ থেকে যে টাকা গুলো নিয়েছে বা সংগ্রহ করেছে অথবা বিভিন্ন প্যাকেজ গুলো বিক্রয় করেছে সেগুলো তারা আইনত করতে পারেন না। সেগুলো তারা প্রতারণা করেছেন এবং সেগুলো তারা মানিলন্ডারিং করেছেন।

এ প্রসঙ্গে   আইনজীবি এহসানুল হক সমাজী বলেন, আমরা যদি কোম্পানির আর্টিকেল অফ মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী বিষয়টি লক্ষ্য করি, আমরা যদি ব্যবসার নেচারটা দেখি তাহলে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড কিংবা ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে কোন ভাবেই আর্টিকেল অফ মেমোরেন্ডাম বা  আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশনের নিয়ম নীতিমালা বা নির্দেশ অমান্য করে কোন ব্যবসা করে নাই। তার প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশের কোন গ্রাহক, বিনিয়োগকারী, কোন পরিবেশক বা কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের কোন আদালতে বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মামলা বা অভিযোগ করেন নাই। এই ধরনের কোন দাবি করেন নাই, সুতরাং তাদের (দুদক) এই দাবিটি মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আজ শুধুমাত্র একজন সাক্ষীকে আনা হয়েছে।

এদিকে মাননীয় আদালত পাবলিক প্রসিকিউটরকে বলেছেন, আজকে আপনার আরও সাক্ষী আসার কথা ছিল। সুতরাং আপনারা নির্ধারিত তারিখে ৫ থেকে ১০ জন সাক্ষী অবশ্যই আদালতে সম্পূর্ণ ডকুমেন্টসহ উপস্থিত রাখার ব্যবস্থা করবেন। দুদক এর পিপি আদালতকে অবহিত করেন যে, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সাক্ষীদেরকে আসার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে সাক্ষীগন আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অবশ্যই পরবর্তী তারিখে আমাদের সাক্ষীরা নির্ধারিত সময়ে আদালতে উপস্থিত হবেন।

এ বিষয়ে ডেসিটিনির আইনজীবি বলেন,  আমরা বলেছি মাননীয় আদালত আমরা দীর্ঘ ১১ টি বছর যাবত কারাগারে অবস্থান করছি। একটি মামলায় ইতিমধ্যে সাজা খাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছে। আদালত আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যেই মামলাটি নিস্পত্তি করা হবে।

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলার শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক এর পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর কথা বলতে রাজি হননি।

দুদক সূত্রে জানা যায়,  ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এলসি  হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা ও সরাসরি পাচার করা হয় ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মোহাম্মদ রফিকুল আমীনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।

আসামিদের মধ্যে আগে থেকেই কারাগারে আছেন মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ রফিকুল আমিন,ফারাহ দিবাহ। এই মামলায় জামিনে আছেন ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হারুন-অর রশিদ ।


এই বিভাগের আরো খবর

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০