দৈনিক নতুনবাংলা ডেস্ক : পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ীর টানে বাড়ি ছুটছে সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এতে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।
অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। মহাসড়কের ওপর বা মহাসড়ক ঘেঁষে দাঁড়ানোর ফলে গতি হারাচ্ছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। গতি হারিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের ওপর দীর্ঘ সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করানোর কারণেও যানজটের তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো মোড়ের যানজট প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত্ত হলেও যাত্রী উঠানামা শেষে আবার মুহূর্তেই যানজট মিলিয়ে যাচ্ছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব জানান, চন্দ্রায় যাতে যানজটের তৈরি না হয় তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রেকার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।